প্রভু শ্রী জগন্নাথ রথবিহারে বেরিয়ে তাঁর সখী পৌর্ণমাসীর ঘরে (চলতি কথায় মাসির বাড়ি) থেকে যান। লক্ষ্মীদেবী সর্ষেপোড়া দিয়ে প্রভুকে ফেরানোর চেষ্টা করেও বিফল হওয়ার পরে অন্য উপায় অবলম্বন করেন। লক্ষ্মীদেবী প্রভু জগন্নাথদেবের গোপবাহিনীকে প্ররোচিত করেন পৌর্ণমাসীর ভাণ্ডার লুঠ করার জন্য। গুপ্তিপাড়ার গ্রামদেবতা শ্রীশ্রী বৃন্দাবনচন্দ্র, কৃষ্ণচন্দ্র এবং বিশাল গোপবাহিনী নিয়ে খাদ্যভাণ্ডার লুঠ করেন। এই অনুষ্ঠান “ভাণ্ডার লুঠ” নামে পরিচিত। এই বিশেষ অনুষ্ঠান গুপ্তিপাড়া ছাড়া ভারতের অন্য কোন রথযাত্রায় পালিত হয় না। সৃজন – শুভজিৎ সিংহ, অভিষেক ভৌমিক, দিবাকর সিং, অন্বেষা আবেদিন, কৌশিক ঘোষ, অনুভব ঘোষ, বাবলু মাহাতো, সপ্তর্ষি চক্রবর্তি ভাবনা ও প্রকাশ – গুপ্তিপাড়া মিডিয়া Facebook : https://facebook.com/guptiparamedia । Youtube :…
Author: গুপ্তিপাড়া মিডিয়া
শ্রী শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র জীউ মন্দিরের মোহন্ত স্বামী গোবিন্দানন্দ পুরী মহারাজের কথায় শুনুন সোজারথ কেমন কাটলো এবং শুনে নিন উল্টোরথের জন্য তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা। সৃজন – শুভজিৎ সিংহ, অভিষেক ভৌমিক, দিবাকর সিং, অন্বেষা আবেদিন, কৌশিক ঘোষ, অনুভব ঘোষ, বাবলু মাহাতো, সপ্তর্ষি চক্রবর্তি ভাবনা ও প্রকাশ – গুপ্তিপাড়া মিডিয়া Facebook : https://facebook.com/guptiparamedia
শ্রীশ্রী জগন্নাথ রথবিহারে বেরিয়ে তাঁর সখী পৌর্ণমাসী-র ঘরে (প্রচলিত কথায় মাসির বাড়ি) গিয়ে সেখানেই থেকে যান। লক্ষ্মীদেবী উৎকণ্ঠিত হয়ে সোজারথের পর হোরাপঞ্চমীতে সর্ষে পোড়া দিয়ে জগন্নাথকে বশ করে ফিরিয়ে আনতে যান পৌর্ণমাসীর বাড়ি। এই ঘটনার নাম লক্ষ্মীবিজয় বা সর্ষেপোড়া। ভাবনা ও প্রকাশ – গুপ্তিপাড়া মিডিয়া
গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার নিবেদনে “গুপ্তিপাড়া রথের গল্প”-তে শুনুন গুপ্তিপাড়ার কিছু বিশিষ্ট মানুষের কথা, রথের অভিজ্ঞতা, গুপ্তিপাড়ার বিখ্যাত ভাণ্ডার লুঠের কথা। জেনে নিন জগন্নাথের মাসীর বাড়ি যাওয়ার সামাজিক গল্পের ভিতরের কথা। যাঁদের কথায় সমৃদ্ধ এই প্রতিবেদন – ১। শ্রী সুজিত মুখার্জী ২। শ্রী দেবকী কুমার গাঙ্গুলী ৩। শ্রী গোপাল ব্যানার্জী ৪। শ্রী রাম ঘোষ সৃজন – শুভজিৎ সিংহ, অভিষেক ভৌমিক, দিবাকর সিং, অন্বেষা আবেদিন, কৌশিক ঘোষ, অনুভব ঘোষ, বাবলু মাহাতো, সপ্তর্ষি চক্রবর্তি ভাবনা ও প্রকাশ – গুপ্তিপাড়া মিডিয়া
গুপ্তিপাড়ার প্রকৃতির শোভা অতুলনীয়। গাছপালা, পশুপাখি, মানুষজন সব মিলিয়ে বাংলার গ্রামের এক সার্থক রূপ গুপ্তিপাড়া। এই প্রতিবেদনে গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন সময়ের কিছু ছবি রইলো আপনাদের জন্য।
স্নানযাত্রা মানেই রথ এসে গেল। স্নানযাত্রায় জগন্নাথদেব স্নান করে জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন। তারপর জ্বর থেকে সেরে উঠে নবকলেবরে রথযাত্রা করেন। গুপ্তিপাড়া শ্রীশ্রী বৃন্দাবনচন্দ্র জীউ মন্দির ও মঠ পরিচালিত শ্রীশ্রী জগন্নাথদবের স্নানযাত্রা দেখুন গুপ্তিপাড়া মিডিয়ার সাথে।
– পরিকল্পনা ও রূপায়ন ~ গুপ্তিপাড়া মিডিয়া
– ক্যামেরা – বাবলু মাহাতো, কৌশিক ঘোষ, সপ্তর্ষি চক্রবর্তী
– সম্পাদনা – সপ্তর্ষি চক্রবর্তী
চৈত্র মাসে গুপ্তিপাড়ায় শিবের চড়ক এবং নীলের গাজন দুইই বেশ প্রচলিত উৎসব। চড়ক এবং গাজন প্রান্তিক মানুষজনের উৎসব। সমাজের তথাকথিত উচ্চশ্রেণী এই উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন না। চড়ক বলতে আমরা সাধারণতঃ পিঠে বঁড়শি বেঁধা বা ওই ধরণের কিছু আচারের কথাই ভাবি। কিন্তু আসলে চড়ক পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে। যে সমস্ত পুরুষেরা চড়কে নামেন তারা এই এক মাস সন্যাসব্রত পালন করেন। গৃহত্যাগী হয়ে অন্যান্য সন্যাসীদের সঙ্গে থাকেন এবং ভিক্ষা করে আহার করেন।
গুপ্তিপাড়ায় জনশ্রুতি আছে সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সত্যদেব সরস্বতী নামে এক তরুন সন্যাসী পর্যটক এসে পৌঁছন গুপ্তিপাড়ায় ভাগীরথীর তীরে। বেলা পড়ে এসেছে তখন। পথশ্রমে ক্লান্ত সত্যদেব ভাগীরথীর ধারে পথের পাশেই একখান ইঁট মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়লেন। কয়েকজন গৃহবধু সে পথে কলসী নিয়ে জল আনতে যাচ্ছিলেন। সন্যাসীকে দেখে একজন কৌতুক করে তার সঙ্গিনীদের বললেন – “সন্যাসী ঠাকুর ঘরদোর সংসার ছেড়েছেন, কিন্তু বালিশের সুখটুকু ছাড়তে পারেননি।” তাঁরা এই নিয়ে হাসাহাসি করতে করতে চলে গেলেন। সত্যদেব অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে ইঁটখানা দূরে ফেলে দিলেন।